ব্রেকিং নিউজ
বন্যা কবলিত মানুষের কাছে রান্না করা খাবার নিয়ে শিবচর থানা পুলিশ

বন্যা কবলিত মানুষের কাছে রান্না করা খাবার নিয়ে শিবচর থানা পুলিশ

চিফ হুইপের নির্দেশে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য রান্না করে খাবার নিয়ে গেল শিবচর থানা পুলিশ।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী নির্দেশে চরাঞ্চলের বন্যা কবলিত প্রায় ১২০০ মানুষের জন্য রান্না করে খাবার নিয়ে গেলেন শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল কালাম আজাদ ও তার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স।
বৃহস্পতিবার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. সজিব হাওলাদারের সহযোগিতায় বন্দরখোলা ও চরজানাজাত ইউনিয়নে হাটুঁপানিতে নেমে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে এ খাবারগুলো পৌছিয়ে দেন ওসি। সেই সাথে স্থানীয় লোকজনদের বন্যা সম্পর্কে সচেতন করেন ও আইন শৃংখলার পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।

এ সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ৪ ইউনিয়নের সেক্টর কমান্ডার ইলিয়াস পাশা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৩ ইউনিয়নের সেক্টর কমান্ডার খায়রুজ্জামান খান, মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সেক্টর কমান্ডার আকরাম খান, সাংবাদিক প্রণব কুমার সাহা অপূর্বসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, চীফ হুইপ স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি করোনা যুদ্ধে যেমন সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে ছিলাম ঠিক তেমনিভাবে বন্যায় কবলিত অসহায় মানুষের পাশে থাকবো সার্বক্ষণিক। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারী কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আঘাত হেনেছে বন্যা, আর এই বন্যায় অসহায় বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থেকে বাংলাদেশ মানবিক পুলিশিং এর দৃষ্টান্ত তুলে ধরব ইনশাল্লাহ।

এদিকে পদ্মা এবার গ্রাস করল শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টিকে।

বুধবার মধ্যরাতে বিদ্যালয়টির মাঝ বরাবর দ্বিখণ্ডিত হয়ে হেলে পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টি নদীর দিকে আরো হেলে পড়েছে যা প্রায় নদী গর্ভে বিলীনের পথে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

২০০৯ সালে স্থাপিত হয় নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস. ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি। বন্দোরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টির কারণে শিবচর উপজেলার বন্দোরখোলা ইউনিয়নের মমিন উদ্দিন হাওলাদারকান্দি. জব্বার আলী মুন্সীকান্দি, বজলু মোড়লের কান্দি, মিয়া আজম বেপারীর কান্দি, রহমত হাজীর কান্দি, জয়েন উদ্দিন শেখ কান্দি, মসত খাঁর কান্দিসহ প্রায় ২৪টি গ্রাম ও ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ছেলে-মেয়েরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো।

বিদ্যালয়টি ছিল চরাঞ্চলের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন তিনতলা ভবনসহ আধুনিক সুবিধা সমৃদ্ধ একটি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চরের এই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের সকলেই চরের বাসিন্দা। শুধু বাড়ি-ঘর বা স্কুল-কলেজই নয় বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে অনেকের পুকুর, মৎস্য খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, ছাগলের খামার অসংখ্য ফসলি জমি।

---------